জমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় অজ্ঞতা আর অসচেতনতার কারণে : সিনিয়র সচিব

 প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

জমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় অজ্ঞতা আর অসচেতনতার কারণে : সিনিয়র সচিব

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ভূমির সাথে মামলার একটি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, কারণ ভূমির মালিকানা, দখল, হস্তান্তর, বা অন্য কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা আদালতে মামলা হিসেবে দায়ের করা হয়, যা দেওয়ানি বা ফৌজদারি প্রকৃতির হতে পারে। এই মামলাগুলোর মাধ্যমে জমির আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা, অবৈধ দখল থেকে মুক্তি, বা জমির সঠিক মালিকানা নির্ধারণ করা হয়। মন্ত্রণালয় এবং এর অধিনকর্মরত সকলকে ভূমি আইন জানা জরুরি কারণ এটি সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করে, জালিয়াতি ও দখল প্রতিরোধে সাহায্য করা, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করা,এবং সরকারি ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের মতো সুযোগ-সুবিধা পেতে সহায়তা করা এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এসকল ক্ষেত্রে সেবাপ্রদানের দায়িত্ব ভূমি মন্ত্রণালয়ের। এছাড়া,ভূমি আইনের জ্ঞান ভূমির মালিকগণদের অবৈধভাবে জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং সম্পত্তির সঠিক আইনি প্রক্রিয়াগুলো বুঝতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে জমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় অজ্ঞতা আর অসচেতনতার কারণে। দেশে মোট মামলার ৮০% ভাগ ভূমি সংক্রান্ত। 


আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন  আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং রিট মামলার জবাব প্রেরণ প্রক্রিয়া বিষয়ক লার্নিং সেশ’নে  তিনি এসব কথা বলেন। লার্নিং সেশনে সহকারী সচিব হতে তদুর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, জমির মূল্যবৃদ্ধি ,ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন বাড়ি-ঘর তৈরি,উন্নয়নমূলক কার্য শিল্প কারখানা স্থাপন,রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক কারণে,উন্নয়নের প্রয়োজনে প্রতিনিয়তই ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত ব্যবহারের পরিবর্তন হইতেছে, দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা,পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হইয়া খাদ্য শস্য উৎপাদনের নিমিত্ত কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাইতেছে এবং পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়িতেছে। এর জন্য ভূমির সঠিক ব্যবহার,ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ,অবৈধ দখল, জালিয়াতি রোধ,অবৈধ্যভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তন এবং বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনগুলো প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য আইনগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩; স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ এবং ভূমি সংস্কার আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮; ২০২৩,ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ (খসড়া) প্রণয়ন করা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন;ভূমি মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মো: দেলোয়ার হোসেন (সায়রাত অনুবিভাগ); মো: শরিফুল ইসলাম (প্রশাসন অনুবিভাগ); সায়মা ইউনুস,এনডিসি (জরিপ অনুবিভাগ); মো: আব্দুর রউফ এনডিসি (আইন অনুবিভাগ); মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান(মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগ)সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।


ভিন্ন খবর এর আরও খবর: