নগর নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধের দাবি গৃহায়ন ও ভবন গবেষণা কেন্দ্রের
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন | ভিন্ন খবর

বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের প্রায় সকল শহরগুলোই ভূমিকম্প ঝূঁকি-প্রবন অঞ্চলে অবস্থিত। গৃহায়ন ও ভবন গবেষণা কেন্দ্র (এইচবিআরসি) এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, ভূমিকম্পের সময় পুরনো ও অপরিকল্পিত গ্যাস পাইপলাইন ফেটে বিস্ফোরক অগ্নিকাণ্ড ঘটার আশঙ্কা অত্যন্ত প্রকট। এর ফলে একদিকে যেমন বিপুল প্রাণহানি ঘটতে পারে, অন্যদিকে পুরো নগর ব্যবস্থাও ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে।
১৯০৬ সালের সান ফ্রান্সিসকো ও ১৯৯৫ সালের কোবে ভূমিকম্পের পর গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে শহরের বিশাল অংশ ছাই হয়ে গিয়েছিল। এইচবিআরসি মনে করে, এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে না ঘটে, সে জন্য আবাসিক ভবনে নতুন পাইপলাইন গ্যাস সংযোগ নিষিদ্ধকরন বলবৎ রাখার কোন বিকল্প নাই।
বর্তমানে দেশের মোট গ্যাস ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ১২–১৬ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার হয় রান্নার কাজে। এই ঘরোয়া ব্যবহারের তুলনায়, গ্যাসের অধিকতর কার্যকর ব্যবহার বা নিরাপদ সংরক্ষণ ও শহরের অগ্নিঝুঁকি হ্রাস জীবনরক্ষার গুরুত্ব বহন করে।
এইচবিআরসি প্রস্তাব করছে—
১। নতুন নগরায়ন ও ভবনে পাইপলাইন গ্যাস সংযোগ প্রদান নিষিদ্ধকরন বলবৎ রাখা;
২। সিএনজি, এলপিজি, বৈদ্যুতিক চুলা এবং সৌর রান্না ব্যবস্থার ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা;
৩। নগর পরিকল্পনা, নির্মাণ বিধিমালা ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডে গ্যাসবিহীন ভবনের জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড অন্তর্ভুক্ত করা;
৪। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতসহ সকল লাইফলাইন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;
৫। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুউচ্চ আবাসিক ভবন ও বৃহৎ প্রকল্পে গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও স্বয়ংক্রিয় বন্ধ হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
এইচবিআরসি কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলছে— এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আমরা প্রাণঘাতী ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা দুর্যোগের মুখোমুখি হব।