শেয়ার বাজারে জেমিনি সী ফুড আলোচনায় থাকার কারণ

 প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন   |   শেয়ারবাজার

শেয়ার বাজারে জেমিনি সী ফুড আলোচনায় থাকার কারণ


জেমিনি সি ফুড দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি।  ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি।  প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব বাজারে সর্বোচ্চ মানের সি ফুড সরবরাহ করে। সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে জেমিনি সী ফুড।


প্রতিষ্ঠানটি গণমাধ্যমকে জানান, দেশের ‘মিনা’ ব্র্যান্ডের চিংড়ি কিনবে জার্মানভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় হিমায়িত খাদ্য বাজারজাতকারী কোম্পানি লেংক ফ্রোজেন ফুডস কোম্পানি।এ জন্য বিশ্ববাজারে ‘মিনা’ ব্র্যান্ডে চিংড়ি রপ্তানিকারক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান জেমিনি সি ফুডের সঙ্গে চুক্তি করেছে জার্মানভিত্তিক এ কোম্পানিটি। সম্প্রতি দুই কোম্পানির মধ্যে এ চুক্তি হয়। এর ফলে ফলে বছরে ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকার বাড়তি আয় যোগ হবে কোম্পানিটির হিসাবে।


আর এ খবরে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। যার সুফল পাচ্ছে- সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।


বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ০২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ৩৪১ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৪ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৭৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১০৯ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে গেল সপ্তাহে ডিএসই দুইবার সতর্কতা জারি করেছে।


সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৯৪ পয়সা। হঠাৎ কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে এমন বড় পরিবর্তনও কোম্পানির অবস্থা ভালো  বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। এই বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখছে।


এদিকে কোম্পানির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি করা চুক্তির মাধ্যমে জেমিনি সি ফুড লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব বাজারে সর্বোচ্চ মানের সি ফুড সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । সর্বোত্তম সামুদ্রিক খাবারের অনুশীলন, বিশ্ব বাজারে উপস্থিতি প্রসারিত করা এবং সংযোগ উন্নত করার জন্য দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে।


এদিকে সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। তার আগের বছর ২০২১ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।


সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ০৭ পয়সা।


কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। রিজার্ভ রয়েছে চার কোটি ৩৮  লাখ টাকা।


শেয়ারবাজার এর আরও খবর: