কুষ্টিয়ার কুমারখালী নদী থেকে গৃহবধূর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন | জেলার খবর

কুষ্টিয়া উপজেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাছিমা খাতুন (৪০) নামের এক গৃহবধূর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের দুধকুমড়া এলাকার নিহতের বাড়ির প্রায় ২০০ মিটার দূরে মরা কালিগঙ্গা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।নিহত গৃহবধূ একই এলাকার দিনমজুর মহেদ আলীর স্ত্রী। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
তবে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও ছেলের পাল্টাপাল্টি এবং মিশ্র বক্তব্য পাওয়া গেছে। ছেলের দাবি, রাত ১টার দিক থেকে মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আর স্বামীর দাবি, ভোরে ফরজ গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে নাছিমা।আর নিহতের চাচার ভাষ্য, বিয়ের পর থেকেই জামাই-মেয়ের সংসারে অশান্তি ছিল। পারিবারিক কলহের জেরেই মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে জামাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরা কালিগঙ্গা নদী থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে মহেদ আলী ও নাছিমা খাতুন দম্পতির বসবাস। এক ছেলে ও এক মেয়ে বিবাহিত। বুধবার সারাদিন তারা নদী থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা নাছিমার ভাসমান মরদেহ দেখে স্বজনদের খবর দেন। পরে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে নাছিমার চাচা ইসমাইল শেখ অভিযোগ করে বলেন, বাবা ছেলের কথার মিল নেই। ভাই-ভাবি বেঁচে নেই। বিয়ের পর থেকেই জামাই মেয়ের সংসারে অশান্তি ছিল। পারিবারিক কলহের জেরে মেয়েকে মেরে নদীতে ফেলে দিছে জামাই। তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, খবর পেয়ে নদী থেকে এক নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহজনক হওয়ায় সুরতহাল শেষে মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা পরে জানানো যাবে।